রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার আলোকে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
সকলকেধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তারেক রহমান বলেন, আজকে আমরা যারা এখানে উপস্থিত রয়েছি, আমাদের রাজনৈতিক দর্শনে ভিন্নতা আছে: সেটিই স্বাভাবিক। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভিন্ন-ভিন্ন রাজনৈতিক ধারার মাঝেও, বৃহত্তর পরিসরে আমাদের সবার মাঝে একটি বিষয়ে আদর্শিক ঐকমত্য রয়েছে। আর সেই বিষয়টি হলো, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আমরা সবাই এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে আর কখনো ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। আমরা সবাই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ চাই, যেখানে জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেবে না। আমরা সবাই একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ চাই, যেখানে গণআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে, নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করবে জনগণের মালিকানা ও অংশীদারিত্ব।
তারেকরহমান বলেন, আজ আমরা ৩১ দফার যে আলোচনা এখানে করেছি; তা নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে; আকাঙ্খার আলো দেখাবে পরিবর্তনকামী গণমানুষকে। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের এই রূপরেখা তৈরি হয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০, বিএনপির জনসম্পৃক্ততা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে প্রথমে প্রদত্ত ২৭ দফার ওপর ভিত্তি করে, যা পরবর্তীতে যুগপৎ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শরিক সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে ৩১ দফায় পরিণত হয়।
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে সাসটেইনাবিলিটি সামিট ২০২৫। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিনিধি, নীতিনির্ধারক, জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ও সামাজিক উদ্যোক্তারা অংশ নিয়ে দেশের ব্যবসায়িক খাত এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে অগ্রগামী আলোচনায় যুক্ত হন এবং পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।তিনটি কি নোট সেশন, ৩টি প্যানেল আলোচনা, ২টি ইনসাইট সেশন ও একটি কেস স্টাডির সমন্বয়ে সাজানো এই আয়োজনে প্রাধান্য পায় দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত ব্র্যান্ড ও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে যথাযথ পরিকল্পনা ও নীতিগত কৌশলের অবলম্বন করে জাতিসংঘের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিক রাখতে সক্ষম হয় তার রুপরেখা প্রণয়নে।সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের গ্রুপ সিইও এবং নির্বাহী সম্পাদক সাজিদ মাহবুব “টেকসইতা এখন আর কোনো বিকল্প নয় এটাই ভবিষ্যতমুখী ব্যবসার ভিত্তি। সাসটেইনাবিলিটি সামিটের এই ২য় আসরের মাধ্যমে আমরা এমন একটি শক্তিশালী সংলাপ তৈরি করতে চাই, যা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের একত্রিত করে কার্যকর উদ্যোগে অনুপ্রাণিত করবে, উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে সম্মিলিত যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। এখনই আমাদের সচেতন ও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।”এই বছরের সামিটে কি নোট বক্তব্য প্রদান করেন শেহজাদ মুনিম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড; প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুন্নবী, ইউনেসকো চেয়ার - এডুকেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, গ্রীন স্কিলস অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশনস; ফাউন্ডিং প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও - গ্লোবাল, অক্সফোর্ড ইমপ্যাক্ট গ্রুপ; এবং রজার লেভারমোর, সিনিয়র স্ট্র্যাটেজি অ্যাডভাইজর, প্রেসিডেন্ট এন্ড স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।অন্যান্য আলোচনা গুলোতে উপস্থিত ছিলেন আহসান খান চৌধুরী, চেয়ারম্যান এন্ড সিইও, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ; সাব্বির হাসান নাসির, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড (স্বপ্ন); সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি; সায়েফ নাসির, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সোশ্যাল মার্কেটিং এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড; দেবাশীষ রায়, ডিরেক্টর - অ্যাডভাইজরি এন্ড পার্টনারশিপস, বাংলাদেশ ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জ (আইআইএক্স); তাসনীম তায়েব, হেড অব এনভায়রনমেন্টাল কমপ্লায়েন্স এন্ড সাসটেইনেবিলিটি, সাউথ এশিয়া, কোটস; দীপেশ নাগ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড; সুনীল আইজ্যাক, কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইডটকো বাংলাদেশ কো. লিমিটেড; ড. এ. কে. এনামুল হক, ডিরেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) সহ আরো বিশেষজ্ঞ পেশাজীবীরা।বক্তারা বলেন একটি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা হিসেবে টেকসই চর্চার প্রসার এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে টেকসইতার মুখ্য ভূমিকা নিয়ে সংলাপ গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এছাড়াও বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় উৎপাদন খাতে ইএসজির বাস্তবায়নে তথ্য ও উপাত্তের ব্যবহার, টেকসই জাতি গঠনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা, এবং সবুজ বাংলাদেশ বিনির্মানে রূপান্তর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার মতো বিষয় গুলো।সামিটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যতিক্রমী একটি সেশনে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ এক প্যানেল আলোচনা। সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড ইনিশিয়েটিভ-এর প্রজেক্ট লিড জান্নাতুল ফেরদৌসীর সঞ্চালনায় এই তরুণরা টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যতের নেতৃত্ব নিয়ে নিজেদের ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।সামিটিটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ও সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড ইনিশি সাসটেইনাবিলিটি সামিট ২০২৫ বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের একটি উদ্যোগ। মোহাম্মদ শরীফুজ্জামান (বিশেষ প্রতিনিধি):
আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন একই সঙ্গে ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ হাইকোর্ট। রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন। আজ বেলা ১১টায় আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় ঘোষণা শুরু হয়। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা শুরু হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান। বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আবরার ফাহাদ। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্মম নির্যাতনে নিহত হন
২৬ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।মানহানির অভিযোগে করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি জামিন পেয়েছেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে গত ৮ অক্টোবর শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহিদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড এবং পর্যালোচনা শেষে ২৮ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। গত ৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। পরে ৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমান শাম্মি ২৬ জানুয়ারি ভোর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে পুরান ঢাকার কাঠেরপুলের তনুগঞ্জ লেনের একটি মেসে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।পুলিশ সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপালে নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের দাবি, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।সাবরিনা জবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের চৌগাছার নারায়নপুরে। সাবরিনা যশোরের ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।