সাবেক দুই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনেরসাবেক দুই সদস্য চয়নইসলাম ও তাঁর বোনমেরিনা জাহান কবিতাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেচাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে শাহজাদপুর আমলি আদালতে মামলাটিকরেন উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের আ. গফুরের ছেলেশাহাদত হোসেন।
মামলায়বালু বিক্রিতে বাধা, ১০ লাখ টাকাচাঁদা দাবি ও মারধরেরঅভিযোগ করা হয়। মামলায়আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতপরিচয়আসামি করা হয়েছে।
মামলারশুনানি শেষে বিচারক গোলামরব্বানী মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলেরজন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই আদালতের পেশকারআশরাফুল আলম এনটিভি অনলাইনকেএ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলারঅন্য আসামিরা কবিতার ছেলে সুমগ্ন করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. টিপু এবংশাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন নয়ন।
অভিযোগেউল্লেখ করা হয়, মামলারবাদী শাহাদত হোসেন ২০২২ সালের ২৫জুন শাহজাদপুর উপজেলার শ্রীফলতলা এলাকায় ২০ লাখ ৪৩হাজার টাকা দিয়ে অন্যেরজমি ভাড়া নিয়ে করতোয়ানদী থেকে ড্রেজার দিয়েউত্তোলন করা ৯০ লাখসেফটি বালু এক কোটি৮০ হাজার টাকায় কিনে বিক্রি করছিলেন।
সংশ্লিষ্ট
আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন একই সঙ্গে ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ হাইকোর্ট। রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন। আজ বেলা ১১টায় আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় ঘোষণা শুরু হয়। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা শুরু হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান। বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আবরার ফাহাদ। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্মম নির্যাতনে নিহত হন
মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় পরিমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ পরোয়ানা জারি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত এপ্রিলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। সেসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
২৬ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।মানহানির অভিযোগে করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি জামিন পেয়েছেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে গত ৮ অক্টোবর শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহিদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড এবং পর্যালোচনা শেষে ২৮ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। গত ৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। পরে ৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আ(৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টুআপিল খারিজ করে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিলবিভাগ এ আদেশ দেন। দালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের এই পাঁচ মামলার কার্যক্রম বাতিল করে গত ২৪ অক্টোবর রায় দেয় হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিলে যায় রাষ্ট্রপক্ষ।২০১৯ সালের ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত কয়েকজন কর্মচারি। এসব মামলা বাতিল চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২০ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। তখন হাইকোর্ট মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেছিলেন। শুনানি শেষে গত ২৪ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই পাঁচ মামলা বাতিল করে রায় দেন।