দুই দিনের মাথায় আবারও দাম কমলো স্বর্ণের
দুই দিনের মাথায় আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিপ্রতি ১ হাজার ৬৮০ টাকা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তাতে আগামীকাল থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে গুণতে হবে এক লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট
মঙ্গলবারসচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিতএক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেনতিনি।অর্থউপদেষ্টা বলেন, বাজেটের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।তবেসরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদেরবেতন-ভাতা আটকাবে না।এডিপিতে কোন কোন প্রকল্পঅপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক বিবেচনায়দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখাহচ্ছে। এ সময় অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারকএবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানখান উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ডলারের মান শক্তিশালী হতে থাকায় কমতে শুরু করেছে স্বর্ণের দাম। স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ২ হাজার ৫৬১ ডলারে, যা ২০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানায়, ট্রাম্পের জয়ের পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী ডলারের বাজার। পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। যার প্রভাবে কমছে দাম। গত ১৪ দিনে দেশের বাজারে ৪ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে প্রতিবারই কমানো হয়েছে দাম। সবশেষ গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টানা চতুর্থ দফা স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাজুস। ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত ১৫ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
গাইবান্ধারগোবিন্দগঞ্জে পৃথক ৩টি হিমাগারে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও চড়ামূল্যে আলু বিক্রি হচ্ছে। ফলে হিমাগার থেকে বের করা মাত্র পরপর তিনবার হাত বদল হয়ে বাড়ছে আলুর দাম। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে উৎপাদন পর্যায়ে ৩০-৩৫ টাকার আলু হাত বদলে ভোক্তাদের ব্যাগে উঠছে ৬৫-৭৫ টাকা কেজি দরে।অন্যদিকেআলুর দাম বৃদ্ধির জন্য খুচরা বিক্রেতারা দায়ী করছেন পাইকারদের। তবে পাইকাররা দুষছেন হিমাগার সিন্ডিকেটকে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ হাতবদল হলেই বাড়ছে আলুর দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট। এ অবস্থায় আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং জোরদার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোক্তারা।
গত ১৬ বছর যারাবাজার নিয়ন্ত্রণ করেছে, মূলত তাদের কারসাজিতেএখনো পণ্যের দাম বাড়ছে পাগলাঘোড়ার গতিতে। পরিস্থিতি এমন-মাসের ব্যবধানেভোজ্যতেল লিটারে সর্বোচ্চ ২০ টাকা বেড়েবিক্রি হচ্ছে। হিমাগারের ৪০ টাকা কেজিদরের আলু ভোক্তা কিনছেন৮০ টাকায়। ৪৮-৫২ টাকারপেঁয়াজ খুচরায় এসে ১২০ টাকাহয়ে যাচ্ছে। আর চাল কিনতেক্রেতার বাড়তি গুনতে হচ্ছে ২-৬ টাকা।পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশচুম্বী। এমনইভাবেপ্রতিবছর ভোক্তাকে জিম্মি করে হাজার কোটিটাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ওই চক্রের বিরুদ্ধেকোনো সরকারই ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে বাজারেবহাল তবিয়তে মুনাফা লুটছে সেই সিন্ডিকেটকয়েকমাস ধরে হুহু করেবাড়ছে আলুর দাম। পরিস্থিতিসামাল দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরসুপারিশের ভিত্তিতে সরকার আলু আমদানিতে শুল্কহার২৫ থেকে কমিয়ে ১৫শতাংশ করেছে। কম শুল্কের আলুওদেশের বাজারে এসেছে। পাশাপাশি দেশীয় আলু বাজারে ভরপুর।তারপরও কমছে না দাম।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি ৪০ টাকাদরের আলু হিমাগার পর্যায়থেকে দাম বাড়িয়ে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রিকরা হচ্ছে। সেই আলু পাইকারিবাজার হয়ে খুচরা পর্যায়ে৭৫-৮০ টাকায় বিক্রিহচ্ছে, যা এক মাসআগেও ৫৫-৬০ টাকাছিল। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, কোল্ড স্টোরেজে যারা আলু সংরক্ষণকরছেন, তারা এখন দামবাড়িয়ে বিক্রি করছেন। যে কারণে আলুরদাম বেশি বেড়েছে। এখানেগুটিকয়েক ব্যবসায়ী আছেন, যারা বাজার নিয়ন্ত্রণকরছেন।